গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদানের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী কার্যকর সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের বিষয়টি চলে আসে সরকারের অন্যতম প্রধান বিবেচনায়। অনুভূত হয় যে, দায়িত্ব প্রদান নয় তা বাস্তবায়নে দিতে হবে ক্ষমতা ও আর্থিক স্বাধীনতা এবং তার জন্য প্রয়োজন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনগণের বাস্তব অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব, সে পথ খুঁজতেই সিরাজগঞ্জ জেলায় ২০০০ সালে শুরু হয় ‘সিরাজগঞ্জ লোকাল গভর্ন্যান্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড প্রজেক্ট (এসএলজিডিএফপি)’।
এ সফল পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতার আলোকে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত জুলাই ২০০৬ হতে জুন ২০১১ পর্যন্ত ‘লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি)’ বাস্তবায়িত হয়। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত ‘সেকেন্ড লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-২)’ সফলভাবে বাসস্তবায়ন করেছে।
অনুমোধিত ডিপিপি অনুযায়ী লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) জানুয়ারী ২০১৭ থেকে বাসস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান আছে যা ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত চলবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদকে সরাসরি থোক বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এ অর্থ দিয়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক স্থানীয় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের অগ্রাধিকার অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প (স্কিম) গ্রহণ ও বাসস্তবায়ন করা হচ্ছে। এলজিএসপি বাসস্তবায়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকায় পরিষদের জবাবদিহিতা ও কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে।